আপনি যদি আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমাতে চান তাহলে আপনাকে খুব কঠিন কোন কিছু করতে হবে না শুধু নিয়ম করে কিছু হার্ট ভালো রাখার খাবার খান।  আপনার জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা দিচ্ছি যেগুলোতে আপনি পাবেন পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ভরাট হয়ে যাওয়া ধমনী, এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো হৃদরোগ হতে আপনাকে মুক্ত রাখবে। যেগুলোকে আপনি সুপার ফুড ও বলতে পারেন

ভালো রাখার খাবার

কমলালেবু

অতি পরিচিত সুস্বাদু এবং সতেজ একটি ফল কমলালেবু যা তৃষ্ণা নিবারণকারী। ফলটি ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে পেকটিন নামক দ্রবণীয় উচ্চ মাত্রা ফাইবার আছে। যা খাবারে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল শোষণ করতে সাহায্য করে। এই ফল উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা কমাতে দারুন কার্যকরী। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে একটি কমলালেবু হলেও খাওয়া উচিত।

বাঁধা কপি

বাঁধাকপি একটি শীতকালীন সবজি। এ সবজীর পুষ্টিগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এই সবজী কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম বজায় রাখতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এই সবজীতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ওমেগা -৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। তাই হ্রদ রোগ থেকে বাঁচতে এ সবজীটি নিয়মিত খাওয়া উচিত।

রসুন

আদিকাল হতেই সকলেই কম/বেশি জানি রসুন তরকারী স্বাদ বাড়ানোর একটি মসলা। আসলে রসুন শুধু একটি মসলা নয় এর গুনাগুনের জন্য একে গরীবের পেনিসিলিন ও বলা হয়ে থাকে । রসুন প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক যাকে একটি হৃদয়-উদ্দীপক সুপারফুড হিসাবেও গন্য করা হয়। রসুন আপনার ধমনীতে প্লেকের স্তর কমাতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুন ধমনীতে  জমে থাকা প্লাককে 50% পর্যন্ত কমাতে পারে।

চকোলেট

চকোলেট এটি আপনার হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে! হার্ভার্ডের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত পরিমাণে কাঁচা কোকো পান করেন তাদের রক্তচাপ কম থাকে এবং হাইপার টেনশনের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যেহেতু ডার্ক চকোলেট প্রাকৃতিকভাবে ফ্ল্যাভনল নামে পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, তাই এটি পরিমিতভাবে খাওয়া রক্তনালীর নমনীয়তা বাড়াতে, আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং শেষ পর্যন্ত হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে করতে পারে।

কাজুবাদাম

বাদাম পরিবারের সবচেয়ে সুস্বাদু  বাদাম হচ্ছে কাজুবাদাম । নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধিমত্তা বাড়ে এবং ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেলে কোলেস্টেরল এবং উচ্চ স্তরের প্ল্যান্ট স্টেরলের কারণে ক্ষতিকারক এলডিএল শোষণ রোধ করতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

ডালিম

যে ফলগুলোকে সুপার ফুড হিসেবে গণ্য করা হয় ডালিম হচ্ছে তারমধ্যে একটি ডালিম অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এ ভরপুর । এই ফল স্ট্রোক, প্রোস্টেট ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং আলঝেইমার প্রতিরোধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ত্বক, জয়েন্ট, ডেন্টাল এবং লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।

চিয়া বীজ

চিয়া বীজ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, পুষ্টি এবং ওমেগা 3 এর সমৃদ্ধ উৎস। চিয়া সিড পুষ্টিকর খাবার। এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। এটি কোলেস্টেরল কমায়, স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ডকে উন্নীত করে।

আপেল

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে একটি আপেল আপনাকে ডাক্তার হতে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। সুপারফুড গুলির মধ্যে একটি হচ্ছে একটি আপেল।  আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ । যা রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে। 

আদা

আদা ভক্তদের জন্য দুর্দান্ত খবর… গবেষণায় দেখা গেছে যে সুগন্ধি রান্নার মশলা একটি স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের সাথেও যুক্ত। প্রকৃতপক্ষে, আপনি যদি প্রতিদিন আদা খান তবে এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং করোনারি হৃদরোগের মতো অনেক অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়তে পারেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *